যে ছেলেটা নামী ভার্সিটিতে চান্স না পেয়ে, নীরবে প্রাইভেটে বা ঢাকার বাইরে চলে গেছিলো, সেই ছেলেটাই, নামী ভার্সিটির পোলাপানের চাইতে দুই বছর আগে পাশ করে, তাদের ম্যানেজার হয়ে বসে আছে। যে মেয়েটা ভালো সাবজেক্টে চান্স পায়নি বলে তার কলেজের ফ্রেন্ডরা তার সাথে মিশতো না, সেই মেয়েটাই তার বান্ধবীদের চাইতে দ্বিগুণ জিপিএ নিয়ে, ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হিসেবে ফ্যাকাল্টি হয়ে গেছে। যে ছেলেটা ভালো স্টুডেন্ট না বলে, জোর করে আর্টস গ্রুপে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিলো, সেই ছেলেটাই সায়েন্সের মেধাবীদের আগে বিসিএস ক্যাডার হয়ে গেছে।
শুনো, নামী ভার্সিটির দামী সাবজেক্ট পেয়ে যত বেশি রিলাক্স হবেন, তত বেশি পিছিয়ে পড়বেন সিরিয়াল, গেমস, প্রিমিয়ার লীগের পিছনে যত বেশি সময় দিবেন, পরীক্ষায় মার্কস তত কম পাবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যত বেশি কানেক্টেড থাকবেন, জীবনের লক্ষ্য থেকে তত বেশি ডিসকানেক্টেড হবেন। দাম্ভিকতা, আত্মতৃপ্তি নিয়ে জীবন উপভোগ করায় যত বেশি মেতে থাকবেন, তত দ্রুত পিছিয়ে থেকে নিয়মিত চেষ্টা করতে থাকা কম কোয়ালিটির কচ্ছপদের কাছে হেরে যাবা।
লাইফের আগের লেভেলে কি ছিলা, কি ফাটাই ফেলছিলা, সেটা দিয়ে এই লেভেলে কিচ্ছু যাবে আসবে না। এই লেভেলে কিছু উল্টায় ফেলার স্বপ্ন থাকলে, সেটার চেষ্টা এই লেভেলেই করতে হবে। আগের দিন সেঞ্চুরি করছিলা, না ডাক মারছিলা, তার উপরে আজকের স্কোর নির্ভর করবে না। আজকে ভালো করতে হলে, আজকেই ঘাম ঝরাতে হবে। আজকেই সাধনা চালাতে হবে। আজকেই চেষ্টা করতে হবে।
আজকের দিনটা সিরিয়াল দেখার পিছনে কাটিয়ে দিলে, আজকের রাতটা বার্সার উইনিং মোমেন্ট দেখার জন্য ব্যয় করে ফেললে, বার্সা এসে তোমার স্বপ্ন পূরণের কাজগুলো করে দিবে না। তাদের ট্রপি দিয়ে তোমার ঘর সাজাবে না। তোমার ইনবক্সে চাকরি বা হায়ার স্টাডি সেন্ড করে দিবে না। তোমার লক্ষ্য অর্জনের জন্য তোমাকেই মাঠে নামতে হবে। তোমার বাসার দেয়ালে ঝুলানোর মেডেল, তোমার ড্রইং রুমের শোকেইস সাজানোর ট্রপি, তোমাকেই অর্জন করতে হবে। তোমাকেই চেষ্টা করতে হবে।