শিক্ষক পরিষদের নেতা আলাউদ্দিন সোহাগ জানান, বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জন্য দীর্ঘদিন ধরে জোরদার দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
তিনি বলেন, এমপিওভুক্ত বেসরকারি কলেজে অন্যান্য শিক্ষকদের মতো নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েও জনবল কাঠামো না থাকাতে বিগত ২৩ বছর ধরে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে পারছেনা। ফলে কলেজ কর্তৃক ধার্যকৃত সামান্য বেতনের কারণে এই সব শিক্ষকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের এই দুরবস্থার ফলে শিক্ষক ছাড়াও বর্তমানে উচ্চশ্রেণির শিক্ষার্থী ও উচ্চশিক্ষা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৪৯৪টি বেসরকারি কলেজে প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত এবং এদের পাঠদানে নিয়োজিত প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক বেতন বৈষম্যের কারণে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়ে আসছেন।
তিনি দাবি করেন, বেসরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের থেকে ভর্তি ফি বাবদ বাৎসরিক ৫-১৫ হাজার টাকা ও মাসিক বেতন ৫শ থেকে দেড় হাজার পর্যন্ত আদায় করছে। একই প্রতিষ্ঠানে উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি পর্যায়ের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে পারে, অপরদিকে মাদ্রাসা পর্যায়ের শিক্ষকরাও এমপিওভুক্ত হতে পারে, তাহলে কেন অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে পারবেনা?
২০ মার্চ ‘সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি’ সফল করার জন্য বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে সকল বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষক পরিষদের নেতারা।
সূত্র:দৈনিক শিক্ষা