বর্তমান সরকারের আমলে গত ১০ শিক্ষাবছরে ২৯৫ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪টি বই বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১০ থেকে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত এ আট বছরে প্রাকপ্রাথমিক, প্রাথমিক, ইবতেদায়ি, মাধ্যমিক, দাখিল, দাখিল (ভোকেশনাল) ও এসএসসি (ভোকেশনাল) স্তরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্ব মোট ২৫৯ কোটি ৭৯ লাখ ২২ হাজার ৯০২ পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রশ্নোত্তর পর্বে বেগম আখতার জাহানের (মহিলা আসন-৫) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে শেষ হাসিনা এ তথ্য জানান।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সময়ের মধ্যে শিক্ষকদের জন্য ১ কোটি ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৮৮টি শিক্ষক নির্দেশিকা সরবরাহ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৯৮৪ কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার ৪৭৮ টাকা।
তিনি বলেন, এছাড়া ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২টি বই বিতরণ করা হয়েছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল বই, নৃগোষ্ঠীর জন্য তাদের ভাষার বইও দেয়া হয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি জ্ঞানভিক্তিক উৎপাদনশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রয়াসের ধারাবাহিকতায় দেশের ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি এবং শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার বিগত মেয়াদে ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০১০ হতে ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করছে। পরবর্তীতে ২০১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার্থীদেরও এ কার্যক্রমের আওতায় নেয়া হয়।
উচ্চশিক্ষায় বিনামূল্যে বই দেয়ার পরিকল্পনা নেই :
বেগম আখতার জাহানের এ সংক্রান্ত সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক বা কলেজে অধ্যয়নরতরা নিজেরা বই সংগ্রহ করে থাকে। আর লাইব্রেরি থেকেও বই সংগ্রহ করা যায়। তাই পরবর্তী শ্রেণির জন্য বিনামূল্যে বই দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে মাস্টার্স ডিগ্রি পর্যন্ত আমরা বৃত্তি দিয়ে থাকি। প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ ট্রাস্ট্র থেকে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে থাকি।