০০ পেয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক যে শিক্ষার্থীরা!

জীবনে এই প্রথম কোনো একাডেমিক পরীক্ষায় শূন্য পাইলাম। শূন্য মানে, ডাহা শূন্য, জিরো। তাও আবার অ্যাত্তগুলা নম্বরের মধ্যে। অ্যাত্তগুলা বলছি কম ভাবিয়েন না। কম-শম না, ৫০০ নম্বরের মধ্যে ০। ভাবা যায়?

NU

 

গতকাল সোমবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শেষপর্বের ফলাফল প্রকাশের পর নিজের ফল পাওয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এমন স্ট্যাটাসই দিয়েছেন এক পরীক্ষার্থী। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেল এমন ঘটেছে আরো অনেকের সঙ্গেই।

সরকারি তিতুমীর কলেজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষার্থী জানান, তার জানা মতে সেই বিভাগেরই প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীর কপালে ঘটেছে এমন ফল। তবে তার পরিচিতর সংখ্যাটা খুবই কম। ধারণা করছেন অনেকেরই এমনটা ঘটেছে।

2015_12_29_18_44_40_AG0yX6h4JU1W3TD3roMtxrP9pLrQr0_original

অবাক করা ঘটনা! ৫০০ নম্বরের পরীক্ষায় একজন পরীক্ষার্থী শূন্য কীভাবে পায়! তিতুমীর কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সেলিম মিয়া আকন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেল আরো ভয়াবহ তথ্য। তিনি বলেন, ‘সমস্যাটা কোথায় আমি বলতে পারবো না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারা বলতে পারবেন। আমাদের কলেজের সাড়ে ৬ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় আড়াই হাজারের মতোই এমন ফল এসেছে। শুধু আমাদেরই না ইডেন কলেজেরও অনেক শিক্ষার্থী এমন অভিযোগ করেছে।’

শূন্য পাওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফল দেখে তারা খুবই অবাক হয়েছেন। টেকনিক্যাল কোনো সমস্যাই হবে হয়তো। তবুও এটা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন তারা। এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করারও দাবি তাদের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জমান বাংলামেইলকে বলেন, ‘এ বিষয়ে কয়েকজন পরীক্ষার্থী আমাদের জানিয়েছে। পরে আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি পরীক্ষার হলে প্রদেয় তথ্যের কোটায় পরীক্ষার্থীরা ভুল তথ্য দিয়েছে। ভুল তথ্য দেয়ার কারণে এমনটা ঘটেছে।’

এরকম পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে দেড়শ’র মতো এ রকম হয়েছে।’

এখন করণীয় কী? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফলাফল ঘোষণার এক মাসের মধ্যে প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ডসহ কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করতে হবে। যাদের এ ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফলাফল আবার বিবেচনা করা হবে। যারা যে নম্বর পেয়েছে তা প্রকাশ করা হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ২৪ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২ সালের মাস্টার্স শেষপর্বের পরীক্ষা শুরু হয়। ৩০টি বিষয়ে সারাদেশে ১১৭টি কলেজের ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৮৪ পরীক্ষার্থী মোট ৮৯টি কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করে। তত্বীয় পরীক্ষা গত ৩১ অক্টোবর শেষ হয়। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১ মাস ২৮ দিনে এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে বলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে জানানো হয়।

 

সূত্র: বাংলামেইল  ২৪ ডট কম