সরকারের দেয়া মাধ্যমিকস্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে উপজেলার ভাওড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে রাতের আধারে এই পাঠ্যপুস্তকগুলো বিক্রি করা হয় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। সোমবার মির্জাপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা পেয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৬ জুলাই রাতে ভাওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পিয়ন ও নৈশ প্রহরী ২০১৪ ও ২০১৫ সালের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ওই এলাকার কাগজ ব্যবসায়ী আদম খানের কাছে কেজি দরে বিক্রি করেন। আদম খান পরদিন ভোরে প্রায় ৯শ কেজি ওজনের বিভিন্ন শ্রেণির ওই পাঠ্যপুস্তক পিকআপ ভ্যানযোগে মির্জাপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন পুরাতন কাগজ দোকানে বিক্রি করেন। বিষয়টি এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানালে ইউএনও মো. মাসুম আহমেদ বিষয়টিক তদন্তের নির্দেশ দিলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন মোল্লা ওই কাগজ ব্যবসায়ীর দোকানে গিয়ে মাধ্যমিকস্তরের বিভিন্ন শ্রেণির বিনামূল্যের বই দেখতে পান।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে মির্জাপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন মো. তফিজ উদ্দিনের পুরাতন কাগজ বিক্রির দোকানে গিয়ে মাধ্যমিকস্তরের বিভিন্ন শ্রেণির বিনামূল্যে বিপুল সংখ্যক বইয়ের স্তুপ দেখা গেছে। গত বছরও এই দোকান থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন মোল্লা বিপুল সংখ্যাক বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক উদ্ধার করেছিলেন।
বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী লুৎফর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের পুরাতন খাতাপত্রের সঙ্গে ওইপোকা ধরা কয়েক মন বই বিক্রি করা হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান বই বিক্রির কথা অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের পুরাতন খাতাপত্র বিক্রি করা হয়েছে।