আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সরকারি স্কুলের ভর্তি কার্যক্রম অনলাইনে আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১৬ সাল থেকে সকল মহানগর, বিভাগীয় শহর, জেলা সদর এবং ২০১৭ সাল থেকে দেশের সকল সরকারি স্কুলের ভর্তি কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে। পর্যায়ক্রমে সকল বেসরকারি স্কুলের ভর্তি কার্যক্রমও অনলাইনে আনার চেষ্টা করা হবে। এছাড়া আগামী বছর থেকে ঢাকা মহানগরীর সরকারি ও বেসরকারি সব স্কুলে ভর্তিতে ৪০ ভাগ এলাকা কোটা চালু হবে। এমন কিছু বিধান রেখে গত সোমবার বেসরকারি ও মঙ্গলবার সরকারি স্কুলের জন্য ২০১৬ সালের স্কুল ভর্তি নীতিমালা জারি করেছে সরকার।
ফলে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা মহানগরীর কোনো সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ৪০ ভাগ এলাকা কোটার শিক্ষার্থীদের আগেই ভর্তি করতে হবে। এ ছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিশুর বয়স ৬ বা তার বেশি হতে হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, ১ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবশ্যিকভাবে লটারির মাধমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকা প্রস্তুত করার পাশাপাশি শূন্য আসনের সমান সংখ্যক অপেক্ষমান তালিকাও প্রস্তুত রাখতে হবে। ২য়-৮ম শ্রেণির শূণ্য আসনে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুসারে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে হবে। নবম শ্রেণীর ক্ষেত্রে জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বোর্ড নির্ধারিত মেধাক্রম অনুসারে শিক্ষার্থী ভর্তির পর অবশিষ্ট আসনে অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্ধারিত ভর্তিকমিটির মাধ্যমে বাছাই করতে হবে। বিদ্যালয়ের অবস্থান, শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে পরীক্ষা কমিটি বিদ্যালয়গুলোকে বিভিন্ন ক্লাস্টারে ভাগ করতে পারবেন। শিক্ষার্থীরা আবেদন ফরমে পছন্দক্রম উল্লেখ করবে। ভর্তি নীতিমালার বিস্তারিত জানা যাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.moedu.gov.bd)।
বেসরকারি নীতিমালায় বলা হয়েছে, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণমান ৫০। এর মধ্যে বাংলা ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং গণিতে ২০। পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা। চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১০০ নম্বরের পরীক্ষার সময় দুই ঘণ্টা। এর মধ্যে বাংলা ৩০, ইংরেজি ৩০ ও গণিতে ৪০। নীতিমালা অনুযায়ী ঢাকা মেট্রোপলিটনসহ এমপিওভুক্ত, আংশিক এমপিওভুক্ত, এমপিও বহির্ভূত প্রতিষ্ঠান ভর্তি ফরমের জন্য সর্বোচ্চ ২০০ টাকা আদায় করতে পারবে। সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে মফস্বল এলাকায় ৫০০ টাকা, পৌর (উপজেলা) এলাকায় এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা গ্রহণ করা যাবে। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র: সমকাল