চাকুরেদের জন্য আরও একটি সুযোগ সৃষ্টি করল সরকার। এখন থেকে চাকরিরত অবস্থায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী মারা গেলে অথবা অক্ষম হয়ে অবসর গ্রহণ করলে তার কাছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঋণ আসল ও সুদ বা দণ্ডসুদসহ মওকুফ করা হবে। সম্প্রতি সরকারের এ সিদ্ধান্ত নীতিমালা আকারে জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই নীতিমালা সরকারি কর্মকর্তাদের গৃহ নির্মাণ, গৃহ মেরামত, মোটরকার ও মোটরসাইকেল এবং কম্পিউটার ঋণের বেলায় প্রযোজ্য হবে। এসব বাবদ নেওয়া ঋণের অপরিশোধিত আসল ও সুদ বা দণ্ডসুদ মওকুফ করা হবে। এর আগে এ ধরনের ঋণের অর্থ কর্মকর্তার পাওনা থেকে অথবা উত্তরাধিকারীদের থেকে আদায় করা হতো। তবে প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম ও গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালায় নেওয়া ঋণ এ নীতিমালার আওতায় বিবেচিত হবে না।সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীদের জন্য এসব খাতে একেক ধরনের ঋণ সুবিধা রয়েছে। চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীরা গৃহ নির্মাণ বাবদ ৫৫ লাখ থেকে ৮৫ লাখ টাকা ঋণ পেয়ে থাকেন। মোটরকার বাবদ ৪৫ থেকে ৬০ লাখ এবং মোটরসাইকেল বাবদ দেড় লাখ থেকে ৩ লাখ এবং কম্পিউটার কেনা বাবদ ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা ঋণ পেয়ে থাকেন।
এই নীতিমালায় অক্ষম বলতে সম্পূর্ণ মানসিক প্রতিবন্ধী বা পঙ্গু হয়ে অবসর গ্রহণ করাকে বোঝাবে। ঋণের আসল ও সুদ মওকুফের সুপারিশ করার জন্য অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণ) সভাপতি করে আট সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়েছে।
এই কমিটি আসল, সুদ বা দণ্ডসুদ মওকুফের সুপারিশ করবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চাকরিজীবীর গ্র্যাচুইটি, বেতনের পেনশনযোগ্য অংশ (শেষ বেতনের ৫০ ভাগ) ইত্যাদি বিবেচনা করা হবে।