বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ এবং গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এজন্য বিষয় বাছাই, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন, শিক্ষাদানের পদ্ধতি অব্যাহতভাবে উন্নত ও যুগোপযোগী করতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের তৃতীয় সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সমাবর্তনে ১৭৭২ শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৫ জন চ্যান্সেলর পদক ও ১৯ জন ভাইস-চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক লাভ করেন।
সমাবর্তন বক্তার বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান ও বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্য একেএম ইনামুল হক শামীম এমপি। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ফাতিনাজ ফিরোজ, উপাচার্য প্রফেসর মোহাম্মদ আল নকি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদ্য প্রয়াত উপাচার্য প্রফেসর ড. এম এ হান্নান ফিরোজের স্মরণে ডকুমেন্টারি দেখানো হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি। শর্ত পূরণে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে অব্যাহত চাপ রেখেও সঠিক ধারায় আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
মন্ত্রী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তাদের ব্যবসার চিন্তা ত্যাগ করে জনকল্যাণে, সেবার মনোভাব ও শিক্ষার জন্য অবদান রাখার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।একই সঙ্গে দেশের বাস্তবতা এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফিসহ সব ব্যয় একটি সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখতে অনুরোধ করেন।