ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মো. হারুন-আর-রশিদ জানান, ‘১২ থেকে ২৩ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত মোট অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৮২৫ জন শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তি হতে আবেদন করেছেন। আর ভর্তির জন্য এখনো আবেদন করেননি ২ লাখ ৪২ হাজার ৪২ শিক্ষার্থী।’
জানা যায়, ২০১৯ সালে মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে কারিগরি বোর্ড থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯১ হাজার ২৯৮ জন। অন্যান্য বোর্ড থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৬ লাখ ৫৭ হাজার ৮৬৭ জন। তবে এদের মধ্যে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে আবেদন করেছেন ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৮২৫ জন। যাদের মধ্যে ১০ লাখ ৫২ হাজার ১৮৪ জন অনলাইন এবং ৩ লাখ ৭৪ হাজার ২২২ জন এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করেছেন। আর এখনো ভর্তির জন্য আবেদন করেননি ২ লাখ ৪২ হাজার ৪২ শিক্ষার্থী। দেশের বিভিন্ন কলেজে একাদশ শ্রেণিতে আবেদন না করা এই শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীর সাত ভাগের এক ভাগ। এদের অনেকেই দেশের বাইরে এবং পরবর্তীতে আবার ভর্তির আবেদন করলেও বেশির ভাগই ঝরে পড়বেন বলে আশঙ্কা বোর্ড কর্মকর্তাদের।
এ বিষয়ে ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন বলেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা হলো প্রথম ধাপে যারা আবেদন করেন নি, তাদের কেউ কেউ দেশের বাইরে পড়তে যাবেন, অনেকেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে কিছু শিক্ষার্থী একাদশে ভর্তি হতে আবেদন করবেন, আর অনেকেই ঝরে পড়বে।’
উল্লেখ্য, ২৪ থেকে ২৬ মের মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে। পুনঃনিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন, হবে তারা ৩ ও ৪ জুন পুনরায় আবেদন করতে পারবেন। পছন্দক্রম পরিবর্তন করা যাবে ৫ জুন। এরপর আগামী ১০ জুন প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। প্রথম তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ১১ থেকে ১৮ জুনের মধ্যে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীর নাম যেই কলেজের তালিকায় থাকবে তা এসএমএসের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। এরপর ১৯ থেকে ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায় এবং ২৪ জুন তৃতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন নিয়ে ২১ জুন দ্বিতীয় পর্যায় এবং ২৫ জুন তৃতীয় পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে।
ইত্তেফাক