বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন অধিদপ্তর (এনটিআরসিএ) শিক্ষক নিয়োগে পিএসসির আদলে কমিশন গঠন করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। আর প্রতিষ্ঠানপ্রধান এবং তথা সভাপতি কমিটি অবৈধভাবে গলাকাটা অর্থ উপার্জন করতে না পারেন সেটাই সকলের কাম্য।
যা হোক, আমরা জানি, নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রতিটি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক। সেই অনুযায়ী কম্পিউটার পদে নিয়োগ দেয়া হলেও এখনও বাংলাদেশে প্রচুর এমপিওভুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় কম্পিউটার শিক্ষকের অভাব। প্রার্থী থাকলেও নিবন্ধন সার্টিফিকেট নেই।
আমরা আশা করছি, যেহেতু দুর্নীতি রোধের জন্যই শিক্ষক নিয়োগে বেসরকারি স্কুল/কলেজের গভর্নিং বডি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিশনে এসেছে, অতএব শিক্ষক নিয়োগে ১০০% স্বচ্ছতা থাকবে। এই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্নে দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি ছাড়া সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে পুরনো সব নিবন্ধন পাস করাদের মধ্য থেকে ঐচ্ছিক বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নিজ নিজ জেলা ও থানার মধ্যে জেলা শিক্ষা অফিস থেকে তালিকা করে চাহিদামাফিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। কেননা একটি থানায় কয়টা হাইস্কুল আছে এবং কতগুলো কম্পিউটার শিক্ষক আছেন তা নিজ ঐ থানার শিক্ষা অফিস থেকে জানা যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিবেদন করছি—অনর্থক আর কোনো পরীক্ষা বা নিয়ম-নীতি না করে আগের পাস করাদের মধ্যে থেকে নিবন্ধনে লিখিত বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে দ্রুত কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
লেখক: এম এ কবির, শেরেবাংলা রোড, কাটাসুর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
সূত্র: দৈনিক শিক্ষা