সফটওয়্যারসহ কয়েকটি জটিলতা আর বন্ধের ফাঁদে পড়েছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন। কেউ কেউ টেলিটকের ম্যাসেজ পাননি। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ণ কর্তৃপক্ষ দেশের সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ৭ মে’র মধ্যে শূন্যপদের তথ্যসহ নানাবিধ তথ্য আপলোড করাসহ নিবন্ধন করার নিদের্শ দিয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য ৬ ও ৭ তারিখের স্কুল ও কলেজের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পিছিয়ে ১৩ মে’তে নেয়া হলেও নিবন্ধনের জন্য সময় দেয়া হলো ৭মে। এটাকে নিবন্ধন অফিসের তুঘলকি সিদ্ধান্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন ভুক্তভোগীরা।তারা আরো অন্তত ৭ দিন সময় বাড়ানোর দাবি করেছেন। তবে, কেউ কেউ বলেছেন সময় বাড়ালেও লাভ নেই কারণ যারা পারেন না তার কোনোদিনই পারবেন না।
রাজশাহী থেকে এক ভুক্তভোগী দৈনিকশিক্ষাকে জানান, একটি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির জন্ম সাল ১৯৪৭। এনটিআরসিএ’র ফরমে সাল আছে ১৯৫০-২০১৬ পর্যন্ত। এক্ষেত্রে সফট ওয়্যারে কাজ করা বা পরিবর্তন জরুরী এবং সময় বাড়ানো প্রয়োজন।
বরিশাল থেকে আরেকজন বলেছেন, টেলিটকের মেসেজ পাননি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শংকরবাটি হেফজুল উলুম এফ. কে. কামিল মাদরাসার অ্ধ্যক্ষ ড. মোহাঃ এমরান হোসেন জানান, অনেক ফাযিল ও কামিল মাদরাসার সভাপতি পদে আছেন জেলা প্রশাসক বা তাঁর মনোনীত অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অথবা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)। তারা অত্যন্ত কর্মব্যস্ত মানুষ। তাদেরকে সব সময় পাওয়া যায় না।
যেমন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসন অফিসের অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট দুটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) একটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দুুুটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। কিন্ত বর্তমানে এ তিনটি পদের দায়িত্বে আছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)। বর্তমানে তিনি ট্রেনিং-এর জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন। ফলে সভাপতির ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র এবং স্বাক্ষর পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, এ সমস্ত দিক বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সূত্র: দৈনিক শিক্ষা ডট কম