নতুন শিক্ষাবর্ষে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রথম তিন দিনে সারা দেশের ৩ লাখ শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। এসব শিক্ষার্থীর ভিন্ন ভিন্ন পছন্দের কলেজে মোট ১১ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অনলাইনে সোয়া দুই লাখ ও এসএমএসের মাধ্যমে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. আশফাকুস সালেহীন বলেন, ‘তিন দিনে ১১ লাখেরও বেশি আবেদন করায় বোঝা যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ততা। আমাদের সার্ভারে এখন পর্যন্ত কোনো জটিলতা দেখা দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘টেলিটকের কাছ থেকে ফিরতি এসএমএস পেতে দেরি হওয়ার যে অভিযোগ ছিল সেটাও অনেকাংশে কমে গেছে।’
কলেজে ভর্তির আবেদনের পুরো প্রক্রিয়াটি তত্ত্বাবধান করছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। আর টাকা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করছে টেলিটক।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার কলেজ রয়েছে। আর এতে আসনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৯ লাখ। তবে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৬০৫ জন।
চলতি বছরে উর্ত্তীণদের সঙ্গে ২০১৪ ও ২০১৫ সালের পাস করা শিক্ষার্থীদেরও আবেদনের সুযোগ থাকছে। এবারই শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ১০টি ও এসএমএসের মাধ্যমে ১০টি মোট ২০টি কলেজে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছে। আগামী ৯ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। অনলাইনে ১০টি কলেজ পছন্দ করে আবেদন করতে ফি দিতে হবে ১৫০ টাকা। আর এসএমএসে প্রতিটি আবেদনের জন্য ফি লাগবে ১২০ টাকা। ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ জুন।
প্রসঙ্গত, প্রথম দুদিনে সারা দেশের এক লাখ ৫১ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করে। দুদিনে এসব শিক্ষার্থীর ভিন্ন ভিন্ন পছন্দের কলেজে মোট সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়ে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এই ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।