ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন।
রোববার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার উপ-উপাচার্য নাসরীন আহমেদ।
নির্বাচনে ২৫ জন প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের ২৪ জন ও জাতীয়তাবাদী পরিষদ থেকে একজন নির্বাচিত হয়েছেন।
বাম সমর্থকদের প্যানেল প্রগতি পরিষদ কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কেউ বিজয়ী হতে পারেননি।
শনিবার সিনেট ভবন, টিএসসি ও শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। ঢাকার বাইরে ২৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয় ৬, ১৩ ও ১৬ জানুয়ারি।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ তিনটি প্যানেলে মোট ৮০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটার ছিলেন ৪৩ হাজার ৯৯৭ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট।
গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অসীম সরকার, সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা এ আর এম মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এইচ এম এনামুল হক চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ফার্স্ট সহকারী ব্যবস্থাপক এ বি এম বদরুদ্দোজা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মুক্তিযোদ্ধা এম ফরিদউদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক তাজিন আজিজ চৌধুরী, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল বারী, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান খান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, মো. আলাউদ্দিন, মো. নাসির উদ্দিন, কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. লিয়াকত হোসেন মোড়ল, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি রঞ্জিত কুমার সাহা, নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম এবং ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার।
জাতীয়তাবাদী পরিষদের একমাত্র বিজয়ী প্রার্থী অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার। তার প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন অধ্যাপক শরীফ আহমদ সাদী।