জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মোমেনশাহী ল’ কলেজের গাফিলতির কারণে ১৬৩ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত্ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এসব শিক্ষার্থী ভর্তির দাবিতে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী সাকিন সরকার জানান, গতবছরের জুন মাসে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ২৫০টি আসনের বিপরীতে ২৮২ জন শিক্ষার্থী মোমেনশাহী ল’ কলেজে ভর্তি হয়।
গত ডিসেম্বরে তারা ক্লাশ শুরু করে। কিন্তু জানুয়ারি মাসে এসে জানতে পারে ১৬৩ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়নি।
এ লক্ষ্যে মোমেনশাহী ল’কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে জানানোর পরও কোনো সুরাহা না হওয়ায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিলসহ আন্দোলন করে আসছে।
উল্লেখ্য, সরকারি কলেজগুলোকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দিয়ে শুধু বেসরকারি কলেজ দেখভালের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মানছেন না জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক হারুন অর রশীদ। ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ৩১ শে আগস্ট প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দেন যে, সরকারি কলেজগুলোকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দিয়ে দিতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রশাসনিক শাখাসহ কয়েকটি শাখায় রয়েছে, জামাত-শিবিরপন্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাপট।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কালোতালিকাভু্ক্ত ক্যামব্রিয়ানের গিফট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের হাতে হাতে দেখা যায়।
জনসংযোগসহ কোন শাখাই বলতে পারেন না জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনেুমোদিত কতগুলো কলেজ রয়েছে, কোন কোন বিষয় পড়ানোর অনুমোদন রয়েছে। কোনটিতে অধ্যক্ষ রয়েছে, কোনটির অনুমতি বাতিল হয়েছে ইত্যাদি।