প্রতিষ্ঠার ১১ বছর পার করছে পুরানো ঢাকায় অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এতদিনেও শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বেদখল হওয়া ১২টি হলের তিনটি উদ্ধার হয়েছে। নতুন করে কোনো হল করার কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখা প্রায় ২৩ হাজার।ব্যস্ত শহরের যানজট ঠেলে শিক্ষার্থীরা নানা বিড়াম্বনা পেরিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আবাসন সুবিধা না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে পুরান ঢাকায় গিঞ্জি এলাকায় মেস বা বাসা ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে। ব্যাচেলর ভাড়াটিয়া দেখলেই ওই এলাকায় বাড়ির মালিকরা মোটা অংকের অগ্রিম টাকা দাবি করেন।
তবে বেশি সমস্যায় পড়ছে ছাত্রীরা।স্থানীয় বাড়ির মালিকেরা ঝামেলা মনে করে ছাত্রীদের ভাড়া দিতে চান না। জরুরি ভিত্তিতে ছাত্রীদের হল করার কথা থাকলেও সেই হল এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোসুমী আক্তার ঢাকাটাইমসকে বলেন, পুরান ঢাকায় বাসা কিংবা মেস ভাড়া পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। পেলেও মোটা অংকের টাকা অগ্রিম গুণতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ফির সঙ্গে মেস ভাড়া এবং যাতায়াত খরচ যোগ হওয়ায় গড়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো টাকা লাগছে।
শিক্ষার্থীদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও আবাসন সুবিধা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর একটি ভবনে মাত্র ৩৫ জন শিক্ষক থাকতে পারে। বাকি ৪০০ জন শিক্ষককে বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া করে থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যেখানে একজন শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে পারেনি প্রশাসন, সেখানে শিক্ষকদের কথা চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই।
জবি উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ছাত্রী হলের কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ শেষ হলে ছাত্রীদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। আর ছাত্রদের আবাসনের বিষয়টিও কর্তৃপক্ষের ভাবনায় আছে। আশা করি শিগগির এর সমাধান হবে।