জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষ কলা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে একজন ছাত্রীও রয়েছেন।
এদিকে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান লেলিনকে আটক করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, আটক শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ইমাদুর রহমান(রোল ১২৪২৮৭৪), তালহা জুবায়ের (১২৪২৯৯০), ইমরান খান (১২৪৮৯৩১), নুসরাত জাহান (১২৪৬০৪৮), সিদ্ধেশ্বরী ডিগ্রী কলেজ থেকে কামরুল ইসলাম (১২৩২১৭৩), ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মোরশেদ আলম রিয়াদ এবং ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
নুসরাত জাহান শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান লেলিনের ফোন থেকে তার মুঠোফোনে এসএমএস আসার কথা স্বীকার করেন। পরে প্রক্টরিয়াল বোডির সহায়তায় লেলিনকে আটক করে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মাদ সমকালকে বলেন, আটককৃত শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। এছাড়া আটককৃতদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে থানায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম ফিরোজ জানান, আটককৃতরা সবাই থানায় রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা করেছে।
এদিকে দুপুর আড়াইটার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশের সময় পায়ের জুতার মধ্যে মোবাইল পাওয়া গেলে তিন শিক্ষার্থীকে আটক করে প্রক্টরিয়াল বোডির সদস্যরা। আটককৃত তিন শিক্ষার্থী হোসাইন আহমেদ (১২৪৮৮৩৪), মানিক চন্দ্র (১২৫৯২৫৩), নাজমুল হোসেন (১২৫০২২৮) ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারেননি। পরে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান সমকালকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় যেই জালিয়াতি করবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২৭টি কেন্দ্রে কলা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষ অনুষ্ঠিত হয়। এবার ‘বি’ ইউনিটে ৭১০টি (মানবিক-৪৯০টি, বিজ্ঞান- ১৪৫টি, বাণিজ্য ও অন্যান্য- ৭৫টি) বিপরীতে ৫০ হাজার ৫৫১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করে।