বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে যাচ্ছে দেশের আরও ৩০ হাজার বেকার।
দেশের আরও ৩০ হাজার বেকারকে ভাতাসহ প্রশিক্ষণ শেষে অস্থায়ী চাকরির সুযোগ দিতে চলমান একটি কর্মসূচি সম্প্রসারণের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি সম্প্রসারণের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানান, এই কর্মসূচির আওতা বাড়লে দরিদ্রতম আরও ২০টি উপজেলার প্রতিটিতে ১ হাজার ৫০০ জন করে মোট ৩০ হাজার মানুষের অস্থায়ী কর্মসংস্থান হবে।
এসব উপজেলার ১৮ থেকে ৩৫ বয়স বয়সী বেকার নারী ও পুরুষ প্রতিদিন ১০০ টাকা ভাতাসহ তিন মাসের প্রশিক্ষণ পাবেন।
প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিদিন ২০০ টাকা ভাতাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দুই বছরের জন্য অস্থায়ী নিয়োগ পাবেন। এরপর তারা দক্ষতা অর্জন করে পরবর্তী পর্যায়ে কাজে লাগতে পারবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘পোভার্টি ম্যাপ’ অনুসরণ এই কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকা দরিদ্রতম আরো ২০ উপজেলাকে অন্তর্ভুক্ত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রস্তাবটি দিয়েছে।
তবে উপজেলাগুলোর নাম ও অর্থের পরিমাণ এখনো ঠিক হয়নি বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রিুতি ছিল, যা ২০১০ সালের ৬ মার্চ কুড়িগ্রাম থেকে শুরু হয়।
মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, প্রথম পর্যায়ে কুড়িগ্রাম, বরগুনা ও গোপালগঞ্জের ১৯টি উপজেলায় ৫৬ হাজার ৮০১ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫৬ হাজার ৫৪ জনকে অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। এজন্য ব্যয় হয় ৮৪৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা, যা সরকারের রাজস্ব বাজেট থেকে আসে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১১-১২ সালে রংপুর বিভাগের সাতটি জেলার আটটি উপজেলায় ১৪ হাজার ৪৬৭ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং এতে খরচ হয় ২৭৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তৃতীয় পর্যায়ের কর্মসূচিতে আরও ১৭টি জেলার ১৭টি উপজেলা এই কর্মসূচির আওতায় আসার পর ২৭টি উপজেলায় কর্মসূচিটি চালু আছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সূত্র: বিডি নিউজ