বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য দেশে বিভিন্ন কোচিং ব্যবসা চালু থাকলেও কোনো কোচিং সেন্টারে না গিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সস্মান প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় গ-ইউনিটে সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছে রাজশাহীর অমিত আহসান। ওই শিক্ষার্থীরা বাবা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এম আহসান হাবিব। আজ সোমবার দুপুরে তিনি জানান, অমিত এ বছর রাজশাহী কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে এইচএসসি পাশ করেছে। রবিবার দুপুরে ঢাবির গ-ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ হলে সেখানে অমিত মোট ১৮৮.৯ স্কোর নিয়ে মেধাতালিকায় প্রথম হয়। তবে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন কোচিং সেন্টারগুলো অমিতকে নিজেদের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত করে তুলতে টানাটানি শুরু করেছে।
অমিতের বাবা আরও বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার পর থেকে কোনো কোচিংয়ে না গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য অমিত নিজের মতো করে প্রস্তুতি নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সে কোনো শিক্ষকের কাছে প্রাইভেটও পড়েনি। কিন্তু রোববার দুপুরে ফলাফল প্রকাশের পর থেকে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। অমিতকে নিজের ছাত্র হিসেবে তুলে ধরার জন্য কোচিং সেন্টারের লোকজন মুঠোফোনে যোগাযোগের পাশাপাশি বাড়িতেও আসছেন। কোচিং সেন্টারগুলো অমিতের ছবি নিজেদের প্রচারণায় ব্যবহারের অনুমতির জন্য নানা ধরনের প্রলোভোনও দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নিজের সাফল্যের বিষয় জানাতে গিয়ে অমিত আহসান বলেন, কোচিং না করেও যে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়া যায় এ বিষয়ে প্রথম থেকেই আমার দৃঢ়বিশ্বাস ছিল। তবে এক্ষেত্রে কলেজের শিক্ষকদের উপদেশ প্রস্তুতিতে অনেক সহায়তা করেছে। তিনি আরও জানান, ইউসিসি, ইউনিএইড, আইকনসহ বিভিন্ন কোচিং সেন্টারগুলো থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সূত্র: লেখাপড়া২৪.কম