চলতি বছরও অষ্টম শ্রেণির জেএসসি পরীক্ষা থাকছে। জেএসসি পরীক্ষা বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে করা রিট আবেদনটি খারিজ করেছেন বিজ্ঞ বিচারক। ১১ আগস্ট সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের পুরাতন কোর্ট নং ৬ থেকে রিট পিটিশনটি (not press rejected) মর্মে আদেশ হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোডের আইন উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট মো: মিজানুর রহমান ১৪ আগস্ট দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, ১১ আগস্টে উচ্চ আদালতের দেয়া আদেশের ফলে আপাতত জেএসসি পরীক্ষা গ্রহণে আইনগত কোনো বাধা রইলো না। আদালতে বিজ্ঞ বিচারক মিজানুরের কাছে জেএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত নানা তথ্যাদি জানতে চান।
জেএসসি পরীক্ষা বাতিল চেয়ে একটি রিট আবেদন করা হয় ২৮ জুলাই। রিট নং ৯১৯৫/১৬। রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।
জেএসসি পরীক্ষা বাতিল চেয়ে এর আগে এই আইনজীবী একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, যশোর, কুমিল্লা, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।
এতে বলা হয়, ১৯৬১ সনের শিক্ষা ব্যাবস্থা অনুযায়ী এসএসসি/এইচএসসি পরীক্ষা পাবলিক পরীক্ষা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ১৯৭১ সালের পর থেকে এ আইনের বিকল্প কোনো আইন তৈরি হয়নি। এ আইনে জেএসসি পরীক্ষা বলতে কিছু নেই। এ আইনের ২(জি)তে বলা হয়েছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাকে পাবলিক পরীক্ষা হিসেবে নেয়ার কথা আছে। কিন্তু জেএসসিকে পাবলিক পরীক্ষা হিসেবে নেয়ার কোনো নির্দেশনা নেই। এই আইনি যুক্তিতে তিনি রিট আবেদন করেছেন বলে আবেদনে উল্লেখ করেছেন। জেএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কোচিং কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
এদিকে প্রাথমিক সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কতিপয় ভুইফোঁড়, চাঁদাবাজি ও ভুয়া ঠিকানায় চলা অভিভাবকরা ধান্দাবাজির লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে চলছে।
সম্মিলিত অভিভাবক পরিষদের আহ্বায়ক ও আইডিয়াল স্কুলের অভিভাবক শহিদুল ইসলাম ১৪ আগস্ট দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, লোক ভাড়া করে ও চাঁদাবাজি করে চলছে কতিপ ভুইফোর অভিভাবক সংগঠন। এরা সংবাদ সম্মেলন শেষে ভিন্ন ফোন নম্বর ব্যবহার করে নারীদের দিয়ে টেলিফোন করিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার অনুরোধ জানায়। জামাতপন্থী সংবাদ মাধ্যমগুলোতে এসব খবর প্রকাশও হয়।
শহিদুল বলেন, অভিভাবকদের নামে স্মরণিকা প্রকাশ করে কোচিং সেন্টার থেকে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করা হয়। সাইফুল স্যারের আসল কোচিং নামে ২৮৫ উত্তর শাহজাহানপুরের ঠিকানার একটি কোচিং থেকে অভিভাবক ফোরাম থেকে প্রকাশিত স্মরণিকায় বিজ্ঞাপন নেয়া হয়েছে।
এছাড়াও কয়েকটি ব্যাংক থেকেও বিজ্ঞাপন নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। স্মরণিকার কপি দৈনিকশিক্ষার হাতে রয়েছে। এতে শিবির কর্মীদের লেখা রয়েছে। আবার অনুমতি ছাড়াই বিশিষ্টজনদের পুরনো লেখা প্রকাশ করেছে। সোনালী ব্যাংকের জনসংযোগ শাখা থেকে বলা হয় এরপর বিজ্ঞাপন নিতে আসলে পাকড়াও করা হবে। বিজ্ঞাপন চাইতে আসা এক ধান্দাবাজকে তার বাসার ঠিকানা জানতে চাইলে আরকে মিশন রোডের ভুয়া ঠিকানা দিয়েছেন। শান্তিবাগের অফিসের ঠিকানায় বছরের পর বছর তালা ঝোলানো থাকে।