উপাচার্য সুগত মারজিত এদিন বলেন, `এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দরকার ছিল৷ যে কোনো বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে এটা অত্যন্ত জরুরি পদক্ষেপ৷ আশা করছি দুই মাসের মধ্যে নিয়মকানুন তৈরি করে, আগামী বছরের প্রথম থেকে এই সিদ্ধান্ত রূপায়ণ করতে পারব৷`
নানা মহল থেকে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অনেক সময়ই ফাঁকিবাজির অভিযোগ ওঠে৷ ক্লাস না করিয়ে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন এমন অভিযোগের পাশাপাশি তারা ক্লাসের বদলে প্রাইভেট টিউশনে বেশি ব্যস্ত রয়েছেন এমন অভিযোগও বিস্তর রয়েছে৷
এই পরিস্থিতিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদক্ষেপ কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে পারে কি না সেটাই এখন দেখার৷ তবে বাম শিক্ষকদের বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতার ক্যাম্পাসকে এই উদ্যোগের মাধ্যমে শায়েস্তা করার এটা কোনো পাল্টা চাল কী না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷
টিএমসিপি সূত্রে খবর, সাম্প্রতিক অতীতে অধ্যাপক পেটানোর ঘটনার পর থেকেই প্রতিপক্ষ শিক্ষকদের কী ভাবে চাপে রাখা যায় তা নিয়ে সরব ছিল ছাত্র সংসদ৷ তবে এদিন প্রকাশ্যে সংসদের তরফে কিছু বলা হয়নি৷
শিক্ষক সংগঠন কুটার তকফে দিব্যেন্দু পালের বক্তব্য, `সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে সংশয় আছে৷ এটা সত্যিই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত দিকটি উন্নত করার উদ্দেশে নাকি অন্য কোনো কারণে, তা খতিয়ে দেখতে হবে৷`
তবে শিক্ষকদের অনেকেই বলছেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনোলজি বিভাগে অনেক আগে থেকেই শিক্ষক মূল্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে৷ যদিও উপাচার্য নিজে বলছেন, `শিক্ষাগত উন্নতি সাধন ছাড়া এর পিছনে আর কোনও কারণ নেই৷`
বহু আগেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং ন্যাকের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও প্রতিষ্ঠানের সার্বিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে জোর দিতে ছাত্রদের দ্বারা শিক্ষকদের মূল্যায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক৷
তবে এ ব্যাপারে সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত কখনই নেওয়া হয়নি৷ ফলে এ রাজ্যে এমন সিদ্ধান্ত বিক্ষিপ্ত ভাবে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলি৷
ইউজিসির মতে, হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মূল্যায়নটিই সবথেকে বিজ্ঞানসম্মত, যেখানে নাম-পরিচয় ছাড়াই পড়ুয়ারা কোনও শিক্ষকের সময়ানুবর্তিতা, বিষয়ের উপর জোর, পড়ানোর ব্যাপারে জাত-পাত, ধর্ম, লিঙ্গ হিসেবে শিক্ষক কতটা সাহায্য করেন, ক্লাসে তার ব্যবহার কী রকম- এসব ব্যাপারে মতামত দিতে পারেন৷
সূত্র: ক্যামপাস টাইমস ডট কম