নতুন পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয়ভাবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি হবে এপ্রিল মাসে। আবেদন গ্রহণসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হবে অনলাইনে। সে লক্ষ্যেই আজ রোবাবার (২০ মার্চ) নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ ও টেলিটকের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হবে সকাল ১১ টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের একাধিক কর্মকর্তা আজ রোববার সকালে দৈনিকশিক্ষাডটকমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। ‘এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বিষেয়ে আজ সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি গুরুত্বপূণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পরই চুক্তি স্বাক্ষর হবে।,’ বলেন তিনি। মেধা তালিকা প্রস্তুত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আজ থেকেই নিয়োগের আবেদন গ্রহণ শুরু কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এমনটা সম্ভব নয় এখনই।’
শুধু ১২ তম উত্তীর্ণরাই আবেদন করতে পারবেন না-কি সব নিবন্ধনধারীরাই পারবেন এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গেছেন তিনি।
সারাদেশের লাখ লাখ নিয়োগ প্রত্যাশী এখবরটি জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ফ্রেব্রুয়ারিতে শুরু করার চেষ্টা করেছিলেন তবে নানা অভ্যন্তরীণ কারণে পারেননি।
নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবতন আনা হয়েছে। নিবন্ধন কর্তৃপক্ষকে আরো ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বিধিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
দৈনিকশিক্ষার পাঠকেররা জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রশাসনের কারো সঙ্গে কোনো যোগযোগ নেই, কোনো নিজস্ব সাংবাদিকও নেই এমন কয়েকটি ভুইফোড় পত্রিকা বিভ্রান্তিকর খবর দিচ্ছে।
লালমনিরহাট সদর থেকে ইমেইলে খন্দকার মোঃ আব্দুল মজিদ তার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এভাবে : আমরা কি নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করে কি পাপ করছি? আমি ১০তম নিবন্ধন ধারী ব্যবসায় শিক্ষায় পাশ করি আমার নম্বর ৫৩.৫ আর ৬০ নম্বর পেয়ে পাশ করি ব্যবসায় শিক্ষা প্রতিটি স্কুলে শাখা না থাকায় সঠিক সময় স্কুলে প্রবেশ করতে পারি নাই। সেই সময় একটি স্কুলের সভাপতির সাথে কথা বলি উনি আমাকে আশ্বাসদেন স্কলে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা খোলার ব্যবস্থা করবে ইতি মধ্যে নভেম্বর মাসে নিয়োগ বন্ধ করল আমারা আর কোথাও ঢুকতে পারতেছি না।’
তিনি আরো বলেন, ‘দৈনিক শিক্ষায় প্রতিনিয়ত চোখ রেখে যাচ্ছি তবে সুখকর কোন সংবাদ পাচ্ছি না তাহলে আমাদের করনিয় কি? আমাদের মেধাতালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলে আদেও কি প্রকাশ হবে? না আমরা দেশ ও জাতির অবহেলার পাত্র হিসেব মানবতারহীন জীবনযাপন করবো? আমরা কি এদেশে জন্ম গ্রহন করি নাই না আমাদের অধিকার ও হ্রাস করা হইছে? শিক্ষা মন্ত্রি সবসময় বলে থাকেন সু শিক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছি তবে কি আমরা কুশিক্ষায় শিক্ষিত হইছি তা না হলে আমাদের নিশ্চই ভালো সমাধান করে দিতো এতো সময় ধরে অপেক্ষা করা লাগতো না। আমরা দরিদ্র বলে কি আমরা চাকুরি আশা করতে পারি না। সরকার সরকারি চাকুরিজীবিদের পে-স্কেল দিয়ে তাদের জীবন যাত্রার মান বাড়ার আর আমরা দ্রারিদ্রতার সাথে জীবন কাটাই দু বেলা দুমোট ভাত খাইতে অনেক কষ্ট করতে হয়। এই পেলাম শিক্ষা অর্জনের পুরস্কার। আপনাদের কাছে আকুল অাবেদন আপনারা কতৃপক্ষের সাথে কথাবলে আমাদের জন্য কিছু করুন তা না হলে আমাদের জীবন ত্যাগ করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।’
সূত্র: দৈনিক শিক্ষা