বসবাসের সেরা শহর ভিয়েনা
বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। জীবনযাপনের মানের বিভিন্ন দিক বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবছর এই তালিকা তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ সেবাদানকারী সংস্থা মার্সার। ২৩০টি শহরের ওপর চালানো ‘এইটিনথ কোয়ালিটি অব লাইফ র্যাংকিং’ শীর্ষক তালিকায় বলা হয়েছে, ভিয়েনার সুগঠিত নগর কাঠামো, নিরাপদ রাস্তাঘাট আর ভালো গণস্বাস্থ্যসেবা শহরটিকে বসবাসের জন্য বিশ্বের সেরা শহরে পরিণত করেছে। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে জার্মানির মিউনিখ, ডুসেলডর্ফ ও ফ্রাংকফুর্ট। শীর্ষ দশে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও ভ্যানকুভার। তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান ২১৪ নম্বরে। গত বছর এর অবস্থান ছিল ২০৪ নম্বরে। সে তুলনায় ১০ ধাপ পিছিয়েছে।
বিশ্বের প্রথম সৌরশক্তিচালিত পার্লামেন্ট
চীনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিশ্বে প্রথম সম্পূর্ণ সৌরশক্তিচালিত পার্লামেন্ট চালু করল পাকিস্তান। ২৩ ফেব্রুয়ারি ইসলামাবাদে এই পার্লামেন্ট ভবন চালু করেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এই সোলার প্ল্যান্টে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। তবে পার্লামেন্ট ভবনের জন্য ৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হলেও বাকিটা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
শীর্ষ সামরিক শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বের শীর্ষ সামরিক শক্তিধর দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। তালিকায় শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০০৫ সাল থেকে এ অবস্থানে রয়েছে তারা। তালিকায় দ্বিতীয় চীন, তৃতীয় রাশিয়া, চতুর্থ ভারত, পঞ্চম ব্রিটেন, ষষ্ঠ ফ্রান্স, সপ্তম দক্ষিণ কোরিয়া, অষ্টম জার্মানি, নবম জাপান ও দশম তুরস্ক। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৫৩তম।
শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ২০১৪ সালে সামরিক খাতে ব্যয় করেছে ৬০৯.৯ বিলিয়ন ডলার, যা মোট মার্কিন জিডিপির ৩.৫%। যুক্তরাষ্ট্রের মাথাপিছু বার্ষিক সামরিক ব্যয় ১,৮৯১ ডলার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চীনের বার্ষিক সামরিক ব্যয় ২১৬.৪ বিলিয়ন ডলার। যা তাদের মোট জিডিপির ২.১%। মাথাপিছু ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৫ ডলার। তালিকায় তৃতীয় দেশ রাশিয়ার সামরিক ব্যয় ২০১৪ সালে ৮৪.৫ বিলিয়ন ডলার। যা মোট জিডিপির ৪.৫%। মাথাপিছু সামরিক ব্যয় ৫৯৩ ডলার।
র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৩তম। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের সামরিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২.৩ বিলিয়ন ডলার (১৮,১৩৪ কোটি টাকা)। যা মোট জিডিপির ১.৩%। বার্ষিক বাজেটের প্রায় ৬ শতাংশ সামরিক বাহিনীর জন্য ব্যয় করে থাকে বাংলাদেশ। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র তুরস্ক শীর্ষ ১০-এর মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তান ১৭, ইরান ২৩ এবং সৌদি আরবের অবস্থান ২৮।
শীর্ষ রোমান্টিক দেশ ইকুয়েডর
১৯৫টি দেশের ১৪ হাজার অভিবাসীর মধ্যে জরিপ চালিয়ে শীর্ষ ১০ রোমান্টিক দেশ চিহ্নিত করা হয়েছে। জরিপে শীর্ষ রোমান্টিক দেশ হয়েছে ইকুয়েডর। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে কোস্টারিকা, তৃতীয় মাল্টা। তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে ইসরায়েল, পঞ্চম ফিলিপাইন, ষষ্ঠ ইন্দোনেশিয়া, সপ্তম পানামা, অষ্টম থাইল্যান্ড, নবম পর্তুগাল এবং দশম মেক্সিকো।
জরিপে বলা হয়েছে, বিদেশিদের জন্য সবচেয়ে সুন্দর বাসভূমি হতে পারে ইকুয়েডর। আর কাজের জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা মাল্টা। কর্মজীবনের ভারসাম্য ও সন্তোষজনক বিভিন্ন ধরনের চাকরির জন্য মাল্টা অন্যতম দেশ। থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনে অবিবাহিত পুরুষ অভিবাসীর সংখ্যা বেশি। আর পানামা হচ্ছে পুরুষ অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে পছন্দের।
বায়ুদূষণে প্রতিবছর ৫৫ লাখ প্রাণহানি
বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর ৫৫ লাখের বেশি মানুষ অকালে মারা যায়। গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ প্রজেক্টের নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিশ্বে অপুষ্টি, স্থূলতা, মদ্যপান ও মাদক দ্রব্য গ্রহণ এমনকি অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের চেয়েও বায়ুদূষণে বেশি মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বে বায়ুদূষণের কারণে যত মানুষ মারা যায় তাদের ৫৫ ভাগই ভারত ও চীনের নাগরিক। ২০১৩ সালে চীনের ১৬ লাখ ও ভারতের ১৩ লাখ মানুষ বায়ুদূষণে প্রাণ হারিয়েছে।
সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী মার্গারেট থ্যাচার
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার গত ২০০ বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী ছিলেন। ৭ জানুয়ারি প্রকাশিত এক জরিপের ফলাফলে ব্রিটিশ নাগরিকদের এ মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। জরিপে ২৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দুবার নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিখ্যাত বিজ্ঞানী মেরি কুরিকে পেছনে ফেলেছেন মার্গারেট থ্যাচার। ২৪ শতাংশ ভোট পেয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় প্রভাবশালী নারী নির্বাচিত হয়েছেন মেরি কুরি।
১৮ শতাংশ ভোট পেয়ে রানি এলিজাবেথ হয়েছেন তৃতীয়, ১৭ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রিন্সেস অব ওয়েলস ডায়না হয়েছেন চতুর্থ, ১৬ শতাংশ ভোট পেয়ে নারী অধিকারকর্মী এমেলিন পাংকহার্স্ট নির্বাচিত হয়েছেন পঞ্চম প্রভাবশালী নারী। তালিকায় প্রভাবশালী অন্যান্য শীর্ষ ১০ নারী হলেন মাদার তেরেসা (ষষ্ঠ), ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল (সপ্তম), রানি ভিক্টোরিয়া (অষ্টম), যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকারকর্মী রোজা পার্ক (নবম) এবং টেলিভিশন উপস্থাপিকা অপরাহ উইনফ্রে (দমম)।
সবচেয়ে বেশি নারী ধূমপায়ী বাংলাদেশে!
ক্রোয়েশিয়ার সরকারি এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, নারী ধূমপায়ীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে ক্রোয়েশিয়া। মোট ২২টি দেশের ওপর গবেষণাটি করেছে ‘ক্রোয়েশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ’। গবেষণার বরাত দিয়ে স্থানীয় পত্রিকা ‘ক্রোয়েশিয়া উইক’ জানায়, নারী ও পুরুষ মিলে বেশি ধূমপায়ীর তালিকায় ক্রোয়েশিয়ার অবস্থান সাত নম্বরে। কিন্তু কেবল নারীর হিসাব কষলে তাদের অবস্থান দ্বিতীয়।
এ ক্ষেত্রে তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশে নারী ধূমপায়ীর সংখ্যা কত, তা পত্রিকাটি উল্লেখ করেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রোয়েশিয়ার ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৩১ শতাংশই ধূমপায়ী। এ ক্ষেত্রে একজনের প্রতিদিন গড়ে সিগারেট লাগে ১৬টি। আর মাথাপিছু মাসিক খরচের হিসাব করলে দাঁড়ায় ৭০ ইউরো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপায়ীর সংখ্যা বাড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলছে বেকারত্ব ও মানসিক চাপ।
আবারও শীর্ষ ধনী বিল গেটস
বিশ্বের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সম্পদের তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়েলথ-এক্স বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকা প্রকাশ করেছে। ওয়েবসাইটটি মার্কিন অনলাইন সংবাদপত্র বিজনেস ইনসাইডারকে বিশ্বের ৫০ শীর্ষ ধনীর তালিকা দিয়েছে। এতে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় এক নম্বরে বিল গেটসের নাম আবারও ওঠল। মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা এই মার্কিন ধনকুবেরের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৮৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বা ৮৭৪০ কোটি ডলার। ৬৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিখ্যাত জারা ফ্যাশনসের প্রতিষ্ঠাতা স্পেনের ব্যবসায়ী আমানসিও ওর্তেগা।
৬০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার সম্পদ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মার্কিন ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট। চতুর্থ স্থানে ৫৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার নিয়ে আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে যথাক্রমে ৪৭ দশমিক ৪ ও ৪৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোচ ইন্ডাস্ট্রির দুই ভাই ডেভিড কোচ ও চার্লস কোচ। তালিকায় সপ্তম স্থানে ওরাকলের লরেন্স এলিশন (৫৪৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার), অষ্টম স্থানে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ, নবম স্থানে নিউ ইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ (৪২ দশমিক ১ বিলিয়ন), দশম স্থানে রয়েছেন সুইডেনের খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ইনভার কামপ্রাড (৩৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন)।
ইন্টারনেট গ্রাহক পাঁচ কোটি ৪১ লাখ, মুঠোফোন ১৩ কোটি ৩৭ লাখ
দেশে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মুঠোফোন গ্রাহকের সংখ্যা ছয় লাখ বেড়ে ১৩ কোটি ৩৭ লাখে উন্নীত হয়েছে। একই সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দুই লাখ বেড়ে পাঁচ কোটি ৪১ লাখ হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সরকারি হিসাবের সঙ্গে দ্বিমত রয়েছে বিশ্বব্যাংকের। সংস্থাটির সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রকৃত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক কোটি ২০ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ।
আবার বিশ্বব্যাংকের এ পরিসংখ্যান প্রত্যাখ্যান করে সরকার বলেছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নিয়ে বিটিআরসির হিসাবে কোনো ভুল নেই। বিটিআরসির তথ্যমতে, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১২ কোটি তিন লাখ। সেই হিসাবে এক বছরে মুঠোফোন ব্যবহারকারী বেড়েছে এক কোটি ৩৪ লাখ। আবার ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল চার কোটি ৩৬ লাখ। এক বছরে এই সংখ্যা বেড়েছে ৯৫ লাখ। সার্বিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাড়লেও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে ১৫ হাজার কমে পাঁচ কোটি ১৪ লাখ ৫৩ হাজার হয়েছে। আর এ সময়ে আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৩ লাখ থেকে দুই লাখ বেড়ে ২৫ লাখ হয়েছে।