যারা প্রথম ও দ্বিতীয় মেধাতালিকায় ভর্তির জন্য মনোনীত হয়নি কিংবা মনোনীত হয়েও কোনো কলেজে ভর্তি হয়নি, তারাই কেবল এই পর্যায়ে আবেদন করতে পারছে। পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী আজ শুক্রবার পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হবে। দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশের পর সারা দেশে প্রায় ৫২ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কোনো কলেজ পায়নি।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, আশা করা যাচ্ছে এ পর্যায়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ভর্তি হতে পারবে। বাকি থাকলেও কেউ ভর্তির বাইরে থাকবে না। কলেজগুলোতে পর্যাপ্ত আসন রয়েছে।
এদিকে ভর্তির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কিছু শিক্ষার্থী রাজধানীর বকশীবাজারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে যায়। কয়েকজন অভিভাবকও যান। একজন অভিভাবক বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে কম শূন্য আসনের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখন ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে কলেজগুলোতে অনেক আসন শূন্য। তাহলে দ্বিতীয় তালিকা তৈরির সময় এসব বিবেচনা করা হয়নি কেন?
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষার্থীদের দেওয়া পছন্দক্রমে যেসব কলেজের নাম দেওয়া হয়েছিল সেগুলোর শূন্য আসনের ভিত্তিতেই দ্বিতীয় তালিকাটি করা হয়। ফলে এ রকম কিছু মনে হতে পারে।
চার দফায় সময় বাড়িয়ে গত ২৮ জুন মধ্যরাতের পর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। তালিকা প্রকাশের পর বিভিন্ন ধরনের ভুল-ভ্রান্তি বের হয়। গত সোমবার দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশের পরও ভর্তি নিয়ে জটিলতা কাটেনি। কারণ, প্রায় ৫২ হাজার শিক্ষার্থী দ্বিতীয় তালিকাতেও কোনো কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়নি।
একাদশ শ্রেণিতে তৃতীয় পর্যায়ে ৪১,৭১৩ জনের ভর্তির আবেদন
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য তৃতীয় পর্যায়ে আবেদন নেওয়া বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে রাত পৌনে নয়টা পর্যন্ত ৪১ হাজার ৭১৩ জন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক এই তথ্য জানান।