একই দিন একই সময় প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) ক্যাশিয়ার পদের নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। এতে সমস্যায় পড়েছেন চাকরি-প্রার্থীরা। দুই প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এই পরীক্ষা যথাসময়েই হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য সৃষ্ট সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আগামী শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত হবে। দেশের ২২ জেলায় একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
জেলাগুলো হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, খুলনা, জামালপুর, নেত্রকোনা, নরসিংদী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী ও লালমনিরহাট। মোট ৪৪৭টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা হবে। প্রার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৭ জন।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) ক্যাশিয়ার পদে নিয়োগ পরীক্ষার দিনও আগামী শুক্রবার। সকাল ১০টায় এই পরীক্ষা হবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, এই পদের জন্য ২১ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছেন। এতেও কেবল উত্তরাঞ্চলের দুই বিভাগ—রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের প্রার্থীরা অংশ নিতে পারবেন। গত ৯ জুন নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
একাধিক প্রার্থী প্রথম আলোকে জানান, দুটি নিয়োগ পরীক্ষার সময় এক হওয়ায় এবং বেশির ভাগ পরীক্ষার্থী উত্তরাঞ্চলের হওয়ায় তাঁরা উভয় সংকটে পড়েছেন। অনেকেই দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আলাদা করে অনেক দিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এখন তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। অনেকে এখনো ঠিক করতে পারেননি যে তাঁরা আসলে কোন পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
নাম প্রকাশ না করে দুজন প্রার্থী বলেন, একই দিন দুই পরীক্ষা কীভাবে হতে পারে? আমরা আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। পরীক্ষার আবেদনেও আমাদের অনেক শিক্ষার্থীর বেশ কিছু টাকা ব্যয় হয়েছে। তাঁরা জানান, এভাবে সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা এমনিতেই কম হয়। আশা করি, কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে দুই পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক বদিউজ্জামান প্রধান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি শেষ। যথাসময়েই পরীক্ষা নেওয়া হবে।’
একই দিন দুই পরীক্ষার বিষয়ে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তাঁদের কিছু করার নেই।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের (নিয়োগ) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মো. সাফায়েত বলেন, তাঁদের পরীক্ষাও যথাসময়েই হবে।