ইতিমধ্যেই এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মনে ভর্তি পরীক্ষা আর উচ্চশিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন। কোন পথে যাবে তুমি, তা ঠিক করার এখনই সময়। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের অনেকেই প্রকৌশল বা প্রযুক্তি বিষয়ে পড়ার পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য অপেক্ষা করছে নতুন স্বপ্ন, নতুন সম্ভাবনা।
সময়টা এখন প্রযুক্তির। প্রযুক্তি এখন জীবনের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠছে। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির ওপর ভর করে। প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকা মানেই পিছিয়ে পড়া। প্রযুক্তির বিশ্ববাস্তবতায় তাই অনেকেই কারিগরি বৃত্তিমূলক শিক্ষায় উৎসাহিত হচ্ছে। যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে নিত্যনতুন বিষয়ও যোগ হচ্ছে কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থায়। শিক্ষার্থীদের সামনে পেশাজীবনে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন সম্ভাবনা। তরুণেরা খুঁজে পাচ্ছে নতুন দিকনির্দেশনা। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ও প্রকৌশলের বিদ্যমান বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু বিষয়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। প্রকৌশলবিদ্যার এ বিষয়ে এয়ারক্রাফটের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে হাতে-কলমে ধারণা দেওয়া হয়ে থাকে।
বেসরকারি পর্যায়ে এখন বাংলাদেশেও অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে নানা প্রতিষ্ঠানে। বাংলাদেশে বিএসসি ইন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করা যাচ্ছে কলেজ অব এভিয়েশন টেকনোলজি (ক্যাটেক), উত্তরায়।
ভর্তির যোগ্যতা: এসএসসি ও এইচএসসিতে ন্যূনতম ৩.৫ জিপিএ। এ বিষয়ে আগ্রহীরা যোগাযোগ করতে পারে ০১৯৩৭১৮২৪৭০, ০২-৮৯৯১৩৭১ অথবা catechedu.com ওয়েবসাইটে।
ক্যাটেকের অধ্যক্ষ মলি সরকার জানান, অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের অভাব হয় না। এ বিষয়ে স্নাতকদের কাজ করার সুযোগ শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরের বিভিন্ন এয়ারলাইনস কোম্পানিতে রয়েছে। সেই সঙ্গে তত্ত্বীয় পাঠ শেষে যোগ্যতা অনুযায়ী ‘অন জব ট্রেনিং’ করার সুযোগ রয়েছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন এয়ারলাইনস কোম্পানি ও বিমান প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে।
বাংলাদেশে সরকারিভাবে এমআইএসটি ছাড়াও এ বিষয়ে পড়া যাবে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও।