মোবাইলে যত বেশি চার্জ দিবে, তত বেশি সময় ধরে চালাইতে পারবে। গাড়িতে যত বেশি গ্যাস নিবে, তত বেশি দূরত্বে যেতে পারবে। ব্যাংকে যত বেশি টাকা জমাবে, তত বেশি মুনাফা পাবে। তাই লাইফের পরবর্তী লেভেলে যাওয়ার আগেই নিজের চার্জ যথেষ্ট পরিমাণে বাড়িয়ে নাও। দরকার হলে পাওয়ার ব্যাঙ্ক কিনে এক্সট্রা চার্জ সেইভ করে নাও। কারণ যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে তলোয়ারে ধার দেয়ার চান্স মিলবে না। শরবতে গিলে ফেললে, গুড় মিশানোর সুযোগ আসবে না।
তোমার মেধা কম-বেশি হতে পারে। তোমার বাপের টাকা কম-বেশি থাকতে পারে। কিন্তু অন্যদের সমান সময়ই তোমার হাতে থাকে। এক মিনিট কমও না। এক মিনিট বেশিও না। তবে তোমার ২৪ ঘন্টা কাটানোর স্টাইল, অন্যদের ২৪ ঘন্টা কাটানোর স্টাইলের চাইতে আলাদা হতে পারে। তাই এই বছরের ২৪ ঘন্টাগুলিই নির্ধারণ করে দিবে, পরের বছরের ২৪ ঘন্টাগুলি কেমন হবে। ক্লাসে ফার্স্ট হবে, নাকি লাস্ট বেঞ্চে বসে ঝিমাবে? লাখ টাকা বেতনের চাকরি করবে, নাকি বেকার হয়ে টাকলা মাথার চুল ছিঁড়বে?
তোমার মনোযোগে ঘাটতি থাকতে পারে। তোমার হাতের লেখা খারাপ হতে পারে। কিন্তু তোমার জিপিএ হবে, তোমার ক্লোজ ফ্রেন্ডদের এভারেজ জিপিএ এর সমান। তোমার ক্রিয়েটিভিটি-স্মার্টনেস হবে, তাদের ক্রিয়েটিভিটি-স্মার্টনেস এর সমান। তাই clash of clans, games of thrones, আড্ডাবাজির পিছনে লেগে থাকা ফ্রেন্ড বাদ দিয়ে তোমার চাইতে স্মার্ট ফ্রেন্ডদের পিছে পিছে ঘুরো। লুজারদের সাথে যত বেশি কানেক্টেড থাকবে, লক্ষ্য থেকে তত বেশি ডিসকানেক্টেড হয়ে যাবে। একদিনের মাস্তি বাদ দিয়ে, ক্রিয়েটিভ কারো সাথে অল্প একটু আড্ডা দিলেই দেখবে, অনেক কিছু শিখে ফেলছ।
ভয় আর কনফিউশনগুলো সাইডে রেখে, কি আউটপুট পাওয়া যাবে সেই চিন্তা বন্ধ করে- টানা পাঁচ দিন এক ঘন্টা করে সময় দিতে পারলে- যেকোনো কঠিন কাজই সহজ লাগা শুরু হবে। শুরু করার চিন্তা করে বসে চুপচাপ বসে থাকলে, দুই-একদিন চেষ্টা করে, ছয়মাস খোজ খবর না থাকলে- যে জায়গায় আটকে আছ, সেখানেই পচে মরবে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে এক ঘন্টা বেশি ফেইসবুকিং না করে, নতুন কিছু শিখার পিছনে একটা ঘন্টা সময় দাও। পরীক্ষার আগের রাতের জন্য পড়া জমিয়ে না রেখে, সেমিস্টারের প্রথম থেকেই সিনসিয়ার হও। আলসেমি আর হেঁয়ালির শিকলে একটু একটু করে আঘাত করো। দেখবে শিকল ভেঙ্গে সবার আগেই ফিনিশিং লাইনে পৌঁছে গেছ।