পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা আগামী ২৩ নভেম্বর রোববার থেকে শুরু হচ্ছে। একইসঙ্গে শুরু হচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও। রোববার এ পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত সময়সূচি অনুসারে, প্রাথমিক সমাপনীতে ২৩ নভেম্বর রোববার ইংরেজি, ২৪ নভেম্বর সোমবার বাংলা, ২৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ২৬ নভেম্বর বুধবার প্রাথমিক বিজ্ঞান, ২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং ৩০ নভেম্বর রোববার গণিত বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
অপরদিকে, ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২৩ নভেম্বর রোববার ইংরেজি, ২৪ নভেম্বর সোমবার বাংলা, ২৫ নভেম্বর মঙ্গলবার পরিবেশ পরিচিতি সমাজ ও পরিবেশ পরিচিতি বিজ্ঞান, ২৬ নভেম্বর বুধবার আরবী, ২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার কোরআন ও তাজবীদ এবং আকাইদ ও ফিকহ এবং ৩০ নভেম্বর রোববার গণিত বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিদিন সকাল ১১টায় শুরু হয়ে বেলা ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বেশি বরাদ্দ থাকবে।
এদিকে, সমাপনী পরীক্ষায় যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন ১০ শতাংশ বাড়িয়ে এবার ৩৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। সবগুলো পরীক্ষার সময় আগের মতো আড়াই ঘণ্টা থাকছে।
এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) মহাপরিচালক মো. নাজমুল হাসান খান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে এবারের সমাপনী পরীক্ষায় প্রতি বিষয়ে যোগ্যতাভিত্তিক ৩৫ শতাংশ এবং ট্রাডিশনাল ৬৫ শতাংশ প্রশ্ন থাকবে।’
নেপ মহাপরিচালক বলেন, ‘প্রাথমিক সমাপনীতে পর্যায়ক্রমে শতভাগ প্রশ্নই যোগ্যতাভিত্তিক করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। প্রতি বছরই যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নের হার বাড়ানো হবে।’
২০০৯ সালে শুরু হওয়া প্রাথমিক সমাপনীতে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো ১০ শতাংশ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন সংযোজন করা হয়েছিল। গত বছর এ প্রশ্ন ছিল ২৫ শতাংশ। যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নে চিন্তা করে শিক্ষার্থীদের উত্তর লিখতে হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীই দুই ঘণ্টায় পরীক্ষা শেষ করতে না পারায় গত বছর সময় ৩০ মিনিট বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।
তবে এবছর প্রশ্নের হার গত বছরের থেকে ১০ শতাংশ বাড়লেও পরীক্ষার সময় বাড়ানো হয়নি বলে জানান নাজমুল হাসান খান।
তিনি বলেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা ছাড়াও সংশ্লিষ্টদ্বদের সঙ্গে আলোচনা করেই যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নের হার এবার ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
collected